আবারও বাড়ছে তিস্তার পানি

আবারও বাড়ছে তিস্তার পানি
ছবি: সংগৃহীত

উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিতে আবারও বাড়ছে তিস্তার পানি। রোববার সকালে তিস্তার পানি বিপৎসীমার বরাবর প্রবাহিত হলেও দুপুর থেকে বিপৎসীমার ৫ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ভাটি অঞ্চলে থাকা নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ভারী বর্ষণ হলে আগামী ৩ দিন জেলার নদ নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে বইতে পারে। বর্তমানে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।

পাউবো আরও জানায়, রোববার দুপুর ১২টায় হাতীবান্ধার ডালিয়া পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ২০ মিটার, যা বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ মিটার থেকে ৫ সেন্টিমিটার ওপরে। বিকেল তিনটায় পানি বিপৎসীমার ৫ সে.মি উপরে প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে। অপরদিকে, কাউনিয়া পয়েন্টে পানির স্তর দাঁড়িয়েছে ২৮ দশমিক ৭০ মিটার, যা বিপৎসীমার তুলনায় ৬০ সেন্টিমিটার নিচে।

শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় ডালিয়া পয়েন্টে পানি ছিল বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচে। ১৮ ঘণ্টায় পানি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। পানির এই বৃদ্ধির কারণে জেলার পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার বেশ কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

এর মধ্যে পাটগ্রামের দহগ্রাম, গড্ডিমারী, দোয়ানী, ছয়আনী, সানিয়াজান, সিঙ্গামারী, সিন্দুর্না, হলদিবাড়ী ও ডাউয়াবাড়ী; কালীগঞ্জের ভোটমারী, শৈইলমারী ও নোহালী; আদিতমারীর মহিষখোচা, গোবর্ধন, কালমাটি, বাহাদুরপাড়া ও পলাশী; সদর উপজেলার ফলিমারী, খুনিয়াগাছ, কুলাঘাট, মোগলহাট, রাজপুর, বড়বাড়ী ও গোকুন্ডা ইউনিয়নের নিচু এলাকা ঝুঁকিতে রয়েছে।

এ বিষয়ে লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার রায় বলেন, বিকেলের দিকে পানি আরও কিছুটা বাড়তে পারে এবং রাতে তা কমতে শুরু করতে পারে। ইতিমধ্যে কিছু নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। সন্ধ্যার দিকে পানি কতটুকু বাড়বে এবং কমবে তা এখনই নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। নদীতীরবর্তী এলাকার মানুষদের আমরা সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছি।

মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ


আরও পড়ুন


সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মামলা
সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৫ | ০১:১০