যারা ফ্যাসিবাদের হাতকে শক্তিশালী করেছিলেন, কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না: প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, সচিবালয়ের ভেতরে থেকে যে সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী বিধিবিধান ভঙ্গ করেছেন, তাদের অনেকের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যারা ফ্যাসিবাদের হাতকে শক্তিশালী করেছিলেন তাদের কাউকে রেহাই দেয়া হবে না। তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। এ ফ্যাসিবাদ যাতে আর কোনোদিন প্রতিষ্ঠা না পায় সে লক্ষ্যে সরকার যা যা দরকার সেই কাজগুলো করছে। তবে আমরা অন্যায় কিছু করছি না।’
রোববার দুপুরে সাভারের বিরুলিয়ার খাগান এলাকায় অবস্থিত মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ঐতিহাসিক জুলাই বিপ্লব ২০২৪-এর বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘পক্ষকালব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে’ বক্তব্য প্রদান শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, ‘২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে সেটা হবে ইতিহাসের সবচেয়ে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য অবাধ নির্বাচন। জাতিকে অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন উপহার দিতে কাজ চলছে।’
শফিকুল আলম বলেন, ‘২০২৬ সালের নির্বাচনে সবাই যার যার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন।’ আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জুলাই হত্যাকাণ্ডের সকল আসামির বিচার করা হবে ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য। বিচারটা একটু দেরিতে হচ্ছে কিন্তু সঠিক সময়ে তাদের বিচার কাজ সম্পন্ন করা হবে। জুলাই যোদ্ধাদের কারণে এক নায়ক তন্ত্রণের পতন হয়েছে। জুলাই হত্যাকাণ্ড নিয়ে জাতিসংঘ সঠিক তদন্ত করেছে।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব আরও বলেন, ‘এখনও যারা ফ্যাসিবাদকে সহযোগিতা করছেন বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা ক্ষতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শফিকুল আলম বলেন, ‘ঐতিহাসিক জুলাই আন্দোলনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের অংশগ্রহণ ছিল এক নম্বরে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মেয়েরা জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। যা বাংলার অতীত ইতিহাসে দেখা যায়নি। যত প্রাণ ঝরেছে তার প্রত্যেকটি খুনের বিচার করা হবে। একটাও বাদ যাবে না।’ তিনি বলেন, মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র শাকিল হোসেন পারভেজ ও আহনাফ আবির আশরাফুল্লাহ হত্যাকাণ্ডেরও বিচার হবে। আমরা তাড়াহুড়ো করছি না। আমরা ক্যাঙ্গারু কোর্ট চাই না।’
এর আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র শহীদ শাকিল হোসেন পারভেজ ও আহনাফ আবির আশরাফুল্লাহর নামে চত্বর ও লাইব্রেরি উদ্বোধন, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও সাবেক সচিব মোহাম্মদ ফজলুর রহমান। অনেকের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুর রব, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মো. মতিউর রহমান আকন্দ, বিশিষ্ট অ্যাকটিভিস্ট ও শীর্ষ জুলাই যোদ্ধা আবু সদিক কায়েম।
মন্তব্য
সর্বশেষ সংবাদ
আরও পড়ুন

প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৫ | ১১:১৯

প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৫ | ০১:১০

প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২৫ | ০৭:৪৮

প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২৫ | ০৯:৪৮

প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২৫ | ১১:০০

প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৫ | ১১:৩৬