পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন
আমরা এখনো কোনো জোটে যোগ দেইনি, আমেরিকার সঙ্গে শুল্ক নিয়ে আলোচনা শেষ হয়ে যায়নি

বাংলাদেশ এখনো কোনো আঞ্চলিক বা বৈশ্বিক জোটে যোগ দেয়নি এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কনীতি নিয়ে আলোচনা এখনো চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত আসিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে যোগ দেওয়া পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন গত ১০ জুলাই এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা স্বার্থের ভিত্তিতে প্রতিটি প্রস্তাব বিশ্লেষণ করছি। এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশ কোনো সামরিক কিংবা অর্থনৈতিক জোটে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের শুল্ক সংক্রান্ত যে আলোচনা চলছে, তা এখনো সম্পন্ন হয়নি। আমরা একটি দীর্ঘমেয়াদি, ভারসাম্যপূর্ণ ও লাভজনক সমঝোতার লক্ষ্যে কাজ করছি।’
এ সময় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক, রাশিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং আসিয়ান অঞ্চলে বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন।
জঙ্গিবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে মালয়েশিয়া গ্রেপ্তার প্রবাসীদের প্রসঙ্গে করা এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মিডিয়ায় এমনভাবে প্রচার করা হয়েছে যেন ৩৬ জন জঙ্গিকে ধরা হয়েছে। ব্যাপারটা তা নয়। জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার সন্দেহ অল্প কয়েকজনের ওপরে। প্রাথমিকভাবে তারা এক জায়গায় ছিল, কাজেই ধরা হয়েছে।
মাল্টিপল ভিসা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাল্টিপল ভিসা নিয়ে কথা-বার্তা চলছে। আমরা চেষ্টা করছি। আশা করছি পজিটিভ রেজাল্ট আসবে। প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিয়ে তিনি বলেন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিয়ে কাজ চলছে। প্রত্যেকটি পদ্ধতিতেই দেখা যাচ্ছে যে, ব্যক্তিপ্রতি ৮ হাজার টাকা খরচ করলেও নিশ্চয়তা পাওয়া যাচ্ছে না। একটি জিনিস মনে রাখতে হবে, ভারত অনেক দিন ধরে চেষ্টা করেও বোধহয় দেড় থেকে দুই লাখ ভোটার করতে পেরেছে। তাদের আড়াই থেকে তিন কোটি প্রবাসী ভোটার রয়েছে। খুবই কঠিন কাজ। কিন্তু বিভিন্ন অপশনে চেষ্টা করা হচ্ছে। আমার সঙ্গে কেউ তো কথা বলেনি, কিন্তু আমি যেটা জানতে পেরেছি বিভিন্ন অপশনে চেষ্টা করা হচ্ছে। এবং যেই পদ্ধতিতে সবচেয়ে বেশি মানুষকে সুযোগ দেয়া যাবে বাংলাদেশ সেটিই বেছে নেবে।
উল্লেখ্য, চলমান বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত ও রাশিয়া—সব পক্ষের আগ্রহ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে দেশের পররাষ্ট্রনীতি ও অবস্থানকে নিয়ে দেশি-বিদেশি মহলে আগ্রহও বেড়েছে।