গণহত্যার দায়ে আ.লীগ ও জাপাকে নিষিদ্ধের দাবি

গণহত্যার দায়ে আ.লীগ ও জাপাকে নিষিদ্ধের দাবি
  © P

গণহত্যা, রাষ্ট্রীয় কাঠামো ধ্বংস এবং দেশের সম্পদ বিদেশে পাচারের দায়ে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে (জাপা) নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পলিটিক্যাল থিঙ্কার্স (বিপিটি) নামের একটি প্ল্যাটফর্ম। আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন করে এ দাবি জানিয়েছেন বিপিটির নেতারা।

মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ ভারতের চক্রান্তে এবং বর্তমান একজন উপদেষ্টার সহযোগিতায় নীলনকশার নির্বাচনে ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসে দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে নস্যাৎ করে দিয়েছে।

সোলায়মান চৌধুরী বলেন, তারই ধারাবাহিকতায় বাক্‌স্বাধীনতা ও ভোটাধিকার হরণ এবং প্রশাসনে দলীয়করণ করে দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তাদের সহচর হিসেবে ছিল আরেক স্বৈরাচার (এইচ এম) এরশাদের জাতীয় পার্টি। দেশ ধ্বংসের এই দুই স্বৈরাচারী দলকে বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে এবং দল হিসেবে নিষিদ্ধ করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে বিপিটির সমন্বয়ক নুর নবী বলেন, ‘গণতন্ত্র আর আওয়ামী লীগ একসঙ্গে চলে না। সেটা শুধু স্বাধীনতা–পরবর্তী শেখ মুজিব কিংবা হাসিনার শাসনামল নয়, বরং সম্প্রতি নিউইয়র্কে জাতীয় রাজনীতিবিদদের ওপর হামলার ঘটনায় প্রমাণিত।’

বিপিটির সমন্বয়ক বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রতিটি খাত ধ্বংস করে দিয়েছে। ২০০৯ সালে বিডিআর হত্যাকাণ্ড, ২০১৩ সালে হেফাজতের শাপলা হত্যাকাণ্ড, ২০১৪ সালে (মাওলানা) সাঈদীর রায়–পরবর্তী হত্যাকাণ্ড এবং সর্বশেষ ২০২৪–এর হত্যাকাণ্ড—প্রতিটি একেকটি গণহত্যা। প্রতিটি গণহত্যার ঘটনায় দল হিসেবে আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা এবং তাদের দোসর জাতীয় পার্টির বিচার হতে হবে।

মানববন্ধনে অন্য বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠার জন্য ভারতের নির্দেশে পাশে থেকে সাংবিধানিক বৈধতা দিয়েছে জাতীয় পার্টি। সুতরাং গণহত্যা, দেশের শাসনকাঠামো ধ্বংস এবং রাষ্ট্রীয় কোষাগার চুরির দায়ে আওয়ামী লীগ এবং তাদের সহচর জাতীয় পার্টির বিচার ও দল হিসেবে নিষিদ্ধ করতে হবে।

মানববন্ধনে অন্যদের বক্তব্য দেন উপাধ্যক্ষ আবু সুফিয়ান, ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী শরীফ আহমেদ, অধ্যাপক গোলাম মোর্তজা, বিপিটির সদস্য রায়হান চৌধুরী, ডিবেট ফর বাংলাদেশের সভাপতি মশিউর রহমান প্রমুখ।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ


আরও পড়ুন