পাকিস্তান-চীন নতুন জোট
সার্কের মৃত্যুঘণ্টা, দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন মেরুকরণের ইঙ্গিত
- ১৪ জুলাই ২০২৫, ২০:০০

দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক সহযোগিতার সবচেয়ে বড় উদ্যোগ সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কো-অপারেশন, দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থাবা সংক্ষেপে সার্ক। ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ মিলে এ সংস্থার যাত্রা শুরু করেছিল। ২০০৭ সালে আফগানিস্তান যোগ দেওয়ার পর সার্কের সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় ৮। লক্ষ্য ছিল, আঞ্চলিক শান্তি-সম্প্রীতি, দারিদ্র্য হ্রাস, অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক বন্ধন জোরদার করা। কিন্তু ৪০ বছরে এসে সার্ক কার্যত মৃতপ্রায় এক সংস্থায় পরিণত হয়েছে।
মূল কারণ, ভারত-পাকিস্তানের বৈরিতা। কাশ্মীরসহ নানা ইস্যুতে দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে বারবার। সার্কে নিয়ম, সিদ্ধান্ত হতে হবে সর্বসম্মতিক্রমে। পাক-ভারত দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর কারণে সার্কের একের পর এক উদ্যোগ স্থবির হয়ে পড়েছে। ২০১৬ সালে ইসলামাবাদে পরবর্তী শীর্ষ সম্মেলনের কথা থাকলেও, ভারতের বর্জনের কারণে তা আর অনুষ্ঠিত হয়নি। সে সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ভারতঘনিষ্ঠ শেখ হাসিনা ওয়াজেদ; বাংলাদেশও ভারতকে অনুসরণ করে সম্মেলনে যোগ দেয়নি। পরে ভুটান এবং আফগানিস্তানও ইসলামাবাদে আসেনি। সব মিলিয়ে শেষ ১০ বছরে সার্কের কোনো শীর্ষ বৈঠকই হয়নি।
সম্প্রতি সার্কের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেয় ভারত। জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর ভারতের তরফ থেকে সার্কের বিশেষ ব্যবসায়িক ভিসা সুবিধা পাকিস্তানি ব্যবসায়ীদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এই প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান ও চীন একসাথে একটি নতুন আঞ্চলিক জোট গঠনের প্রস্তাব নিয়ে এগোচ্ছে। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, ইসলামাবাদ ও বেইজিংয়ের মধ্যে এ বিষয়ে আলোচনা এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। উভয় দেশই মনে করছে, আঞ্চলিক সংহতি ও কার্যকর যোগাযোগের জন্য নতুন একটি সংগঠন সময়ের দাবি। এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে তবে কোনো এক সময় “দক্ষিণ এশিয়ার ইউরোপীয় ইউনিয়ন” হিসেবে এক সময়ে অভিহিত সার্ক কার্যত চিরতরে নিস্ক্রিয় হয়ে যাবে। বাজবে সার্কের অন্তিম ঘণ্টা।
প্রস্তাবিত নতুন জোট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এক পদক্ষেপ হলো সম্প্রতি চীনের কুনমিং শহরে ১৯ জুন অনুষ্ঠিত পাকিস্তান-চীন-বাংলাদেশ ত্রিদেশীয় বৈঠক। তিন দেশের শীর্ষ কূটনীতিকেরা প্রথমবারের মতো এই বৈঠকে একসাথে বসেন। এ বৈঠক ভারতের কূটনৈতিক মহলে কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। কারণ, এটি স্পষ্ট বার্তা দেয় যে, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের প্রভাবকে পাশ কাটিয়ে অন্য শক্তি-কেন্দ্র তৈরি হতে শুরু করেছে।
এই বৈঠকের মূল লক্ষ্য ছিল সাবেক সার্কভুক্ত দেশগুলোকে নতুন জোটে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো। কূটনৈতিক সূত্র বলছে, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, আফগানিস্তানসহ বেশ কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যেই আগ্রহ দেখিয়েছে। তবে ভারতকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও, তাদের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা ক্ষীণ। কারণ, ভারতের রাজনৈতিক ও কৌশলগত স্বার্থ এই নতুন উদ্যোগের সাথে মেলে না।
দক্ষিণ এশিয়ায় সার্ককে কার্যত অকার্যকর করে তোলার পিছনে ভারতের পরিকল্পিত কৌশলও উল্লেখযোগ্য। ১৯৯৭ সালে ভারতের নেতৃত্বে গঠিতবহুমুখী কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্য বঙ্গোপসাগরীয় উদ্যোগবিমস্টেকছিলসার্ককে পাশ কাটানোর প্রথম বড় উদ্যোগ। বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, নেপাল ও ভুটানকে নিয়ে গড়া এই জোটে পাকিস্তান নেই। বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিমস্টেক দিয়ে ভারত এমন একটি ফোরাম তৈরি করেছে যেখানে পাকিস্তানকে বাদ দিয়ে আঞ্চলিক বাণিজ্য ও নিরাপত্তা আলোচনার নতুন পাটাতন গড়ে তোলা সম্ভব হচ্ছে। এতে সার্কের গুরুত্ব ও কার্যকারিতা দিনে দিনে ক্ষুণ্ন হয়েছে।
বিমস্টেক ছাড়াও ভারতেরঅ্যাক্ট ইস্ট পলিসিএবংকোয়াড-এঅংশগ্রহণ দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক রাজনীতিকে আরও জটিল করেছে। কোয়াডে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া একসাথে কাজ করছে, যা মূলত চীনের প্রভাব প্রতিহত করার কৌশল হিসেবে বিবেচিত হয়।
দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক জোট হলো সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন বা এসসিও (SCO)।
এ জোটে চীন, রাশিয়া, ইরান, পাকিস্তান এবং মধ্য এশিয়ার কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তানসহ মোট ১০টি সদস্য দেশ মিলে বিশ্বের অন্যতম বড় নিরাপত্তা জোটের রূপ দিয়েছে। শুরুতে কেবল সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে যৌথ লড়াইয়ের লক্ষ্যে গঠিত হলেও, সময়ের সাথে সাথে এসসিও অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্যিক সমন্বয় এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্যও কার্যকর একটি প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরিত হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এসসিওর কর্মসূচি স্পষ্টতই পশ্চিমা প্রভাব, বিশেষত মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো বা পশ্চিমা অর্থনৈতিক চুক্তিগুলোর এক বিকল্প আঞ্চলিক ব্যবস্থার দিকে ঝুঁকেছে। চীন-রাশিয়া নেতৃত্বাধীন এসসিও’র এজেন্ডা দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ায় এক নতুন নিরাপত্তা কাঠামো তৈরি করছে, যা পশ্চিমের একাধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করছে। এই জোটকে অনেকেই “পূর্বের ন্যাটো” বলেও উল্লেখ করেন, যদিও এটি মূলত প্রতিরক্ষা নয়, বরং বহুমুখী নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার একটি প্ল্যাটফর্ম।
কিন্তু ভারতের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি জটিল। একদিকে ভারত এসসিওর পূর্ণ সদস্য, অন্যদিকে ভারতের পশ্চিমঘেঁষা কূটনীতি এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সামরিক-অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব তাকে জোটের মূল উদ্দেশ্যের সাথে সাংঘর্ষিক অবস্থানে নিয়ে গেছে। বিশেষ করে কোয়াড (QUAD) এবং আইনদো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিতে ভারতের সক্রিয় ভূমিকা চীন-রাশিয়ার নেতৃত্বে গড়ে ওঠা এসসিওর রণকৌশলের সাথে স্পষ্ট বিরোধ তৈরি করছে। এর ফলেই এসসিওর ভিতরে ভারত ক্রমশ একঘরে হয়ে পড়ছে।
সাম্প্রতিক দুই এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অংশগ্রহণ করেননি, যা এই জোটে ভারতের অবস্থান নিয়ে কূটনৈতিক মহলে নানা প্রশ্ন তুলেছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ভারতের এ ধারাবাহিক অনুপস্থিতি কেবল জোটের মধ্যে ভারতের প্রভাব কমাচ্ছে না, বরং আঞ্চলিক মেরুকরণের দিকেও ইঙ্গিত দিচ্ছে। চীন-পাকিস্তান-রাশিয়া ইত্যাদি সদস্য দেশগুলো একপাশে, ভারত ও তার পশ্চিমা অংশীদাররা আরেকপাশে — এমন দ্বিধাবিভক্তি এসসিওর ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনায় বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এসসিও ভারতের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠতে পারত, যদি ভারত জোটের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক কর্মসূচির সাথে পূর্ণাঙ্গভাবে একাত্ম হতে পারত। কিন্তু বর্তমান ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় ভারতের কৌশলগত দ্বিমুখিতা এবং পশ্চিমা ব্লকের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এসসিওতে ভারতের এক ধরনের বিচ্ছিন্নতা তৈরি করছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সমীকরণকেও প্রভাবিত করছে।
পাকিস্তান-চীন উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে নতুন জোটের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ায় আরও কার্যকর বাণিজ্য, অবকাঠামোগত সংযুক্তি ও সাংস্কৃতিক বিনিময় ঘটতে পারে। সার্কের মতো একমাত্র ভারত-পাকিস্তান বিরোধে পণবন্দি হয়ে না থেকে, একমত দেশগুলো একসাথে এগোতে পারলে দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক সহযোগিতার নতুন দিগন্ত খুলতে পারে। বিশেষ করে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের সাথে এ নতুন জোটের সমন্বয় হলে দক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্য-যোগাযোগে বড় রূপান্তর ঘটতে পারে।
পাক-চীন যৌথ উদ্যোগের এই নতুন প্রস্তাব দক্ষিণ এশিয়ায় মেরুকরণের স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে। এটি কেবল সার্ককে চূড়ান্ত মৃত্যুঘণ্টা শোনাচ্ছে না, বরং ভারতের একক প্রভাবকে চ্যালেঞ্জ করে এক নতুন আঞ্চলিক সমীকরণ গড়ে তোলার প্রক্রিয়াও শুরু করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, বাণিজ্যিক সম্ভাবনা আর কূটনৈতিক সমীকরণে এর প্রভাব কতটা গভীর হবে, তা এখন সময়ই বলে দেবে।
দক্ষিণ এশিয়া ঐতিহাসিকভাবে ভারত-কেন্দ্রিক রাজনীতির বৃত্তে আবর্তিত হলেও, পাক-চীন উদ্যোগ এই প্রথম এক বিকল্প শক্তিকেন্দ্রের ইঙ্গিত দিচ্ছে। ১৯৮৫ সালে সার্ক গঠনের সময় আশা করা হয়েছিল এটি দক্ষিণ এশিয়ার ইউরোপীয় ইউনিয়ন হয়ে উঠবে, কিন্তু গত ৪০ বছরে তা হয়ে ওঠেনি — বরং ভারত-পাক বিরোধের কারণে একে অপরের প্রস্তাব আটকে দিয়ে পুরো সংস্থা কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। বলা যায়, এমন হীন তৎপরতায় ভারতের দায় বেশি। নতুন জোট সেই স্থবিরতার পথ থেকে বেরিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার বাকি দেশগুলোকে নতুন সহযোগিতার প্ল্যাটফর্ম দিতে পারে।
বিশেষ করে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) সাথে এ উদ্যোগের সমন্বয় হলে, দক্ষিণ এশিয়ার অবকাঠামো, বাণিজ্যপথ, বন্দর, রেলপথসহ বিভিন্ন সংযুক্তি প্রকল্পে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে। এতে ভারতের প্রভাব খর্ব হতে পারে, কারণ এতদিন ভারতের ভৌগোলিক অবস্থানকে ঘিরেই দক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্য ও যোগাযোগের ধারা নির্ভর করত। নতুন জোট গড়ে উঠলে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর, পাকিস্তানের গওাদার বন্দর, শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দর ইত্যাদি চীনের বিনিয়োগে পরস্পর সংযুক্ত হতে পারে, যা ভারতীয় প্রভাব থেকে স্বাধীন এক নতুন আঞ্চলিক অর্থনৈতিক করিডর তৈরি করবে।
রাজনৈতিক দিক থেকেও এই প্রস্তাব একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করছে। এতদিন ভারত নিজেকে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র ‘নেতা’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু চীন ও পাকিস্তান একসাথে এমন এক উদ্যোগে এগোলে, ভারতের প্রতিপক্ষ দেশগুলো বিকল্প নিরাপত্তা ও বাণিজ্যিক প্ল্যাটফর্ম খুঁজে পেতে শুরু করবে। ফলে আঞ্চলিক রাজনীতিতে ভারসাম্যের নতুন ধারা শুরু হবে, যা দক্ষিণ এশিয়ার বিদ্যমান কূটনৈতিক সমীকরণকে নতুন করে সাজিয়ে দিতে পারে।
তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, নতুন এই উদ্যোগ সফল হবে কিনা তা নির্ভর করবে অন্য সার্কভুক্ত দেশগুলোর অবস্থানের উপর। যদি বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল, ভুটান প্রভৃতি দেশ এই নতুন জোটে যোগ দেয়, তাহলে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের একক আধিপত্য সত্যিই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। আর যদি এই দেশগুলো দ্বিধায় পড়ে ভারতের দিকে ঝুঁকে থাকে, তাহলে উদ্যোগটি চীন-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়ার বাইরে বেরোতে পারবে না।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতা, দারিদ্র্য হ্রাস, অবকাঠামো উন্নয়ন ও বাণিজ্যিক প্রবৃদ্ধির জন্য একক কোনো দেশের আধিপত্য নয়, কার্যকর আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রয়োজন। নতুন জোট সেই সহযোগিতার বাস্তব সম্ভাবনা এনে দিতে পারলে, পুরো অঞ্চল এক নতুন দিকের দিকে এগোতে পারে। তবে এটি কেবল সম্ভাবনা — বাস্তবে তা কতটা ফলপ্রসূ হবে, সেটি নির্ভর করছে আসন্ন মাসগুলোতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা, দ্বিপক্ষীয় আলোচনার গতি এবং ভারতসহ অন্য দেশের প্রতিক্রিয়ার উপর। শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক মানচিত্রের রূপান্তর ঘটবে কিনা — তা একমাত্র সময়ই প্রমাণ করবে।
সূত্র: কামরান ইউসুফ, পাকিস্তান ট্রিবিউন।