ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বন্ধে সরাসরি জড়িত হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র: মার্কো রুবিও

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও দাবি করেছেন, এ বছরের শুরুতে যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক সংঘাত হয়েছিল, তখন যুক্তরাষ্ট্র এতে ‘সরাসরি জড়িত’ হয়েছিল। তিনি আবারও বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পই এই পারমাণবিক শক্তিধর দুই দক্ষিণ এশীয় দেশের মধ্যে যুদ্ধ থামিয়েছিলেন।

গত বৃহস্পতিবার ইডব্লিউটিএন–এর ‘দ্য ওয়ার্ল্ড ওভার’ অনুষ্ঠানে এক সাক্ষাৎকারে রুবিও বলেন, ট্রাম্প শান্তির প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ এবং তিনি ‘শান্তিকামী প্রেসিডেন্ট’ হতে চান।

রুবিও বলেন, ‘তাই, আমরা দেখেছি যখন ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ল, আমরা সরাসরি জড়িত হয়েছি এবং প্রেসিডেন্ট সেই শান্তি নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছেন।’

মার্কিন এই নেতা আরও কিছু সংঘাতের উদাহরণ টেনে বলেন, যেখানে ট্রাম্প ওইসব সংঘাত বন্ধে সহায়তা করেছেন। তিনি বলেন, মার্কিনরা এসব উদ্যোগে গর্বিত।

মার্কো রুবিও বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ড; আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া, ডিআরসি (কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র) ও রুয়ান্ডা—যেখানে ৩০ বছরের যুদ্ধ, ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে—আমরা সেখানে তাদের চুক্তি করাতে সক্ষম হয়েছি।’

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও যোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘আরও শান্তি আনার চেষ্টা করছে। এর মধ্যে অবশ্যই সবচেয়ে বড়টি হচ্ছে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধের অবসান।’

ভারতের প্রত্যাখ্যান

গত ১০ মে থেকে ট্রাম্প বারবার দাবি করে আসছেন, তিনি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করেছিলেন এবং দুই দেশকে বলেছিলেন, যুদ্ধ থামালে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সঙ্গে ‘বড় আকারে বাণিজ্য’ চুক্তি করবে।

তবে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। ভারতের মতে, যুদ্ধবিরতি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর নিজস্ব আলোচনার মাধ্যমে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় নয়।

গত মাসে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় বলেছিলেন, চাপের কারণে সামরিক অভিযান বন্ধ করা হয়েছে—এ কথা সম্পূর্ণ ভুল ও ভিত্তিহীন।

রাজনাথ দাবি করেন, সংঘাতের আগে ও সংঘাত চলাকালে সব রাজনৈতিক ও সামরিক লক্ষ্য পুরোপুরি অর্জিত হয়েছিল বলে ভারত অভিযান বন্ধ করেছে কারণ।

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও দাবি করেন, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজিএমও) ‘রেহাই দেওয়ার’ অনুরোধ করেছিলেন, যার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সূত্র: এনডিটিভি