জুলাই হত্যা: সাবেক মন্ত্রীসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত তিন মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ

জুলাই আন্দোলনে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক সাত মামলায় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক ও ডা, দীপু মনি, আমির হোসেন আমু, সালমান এফ রহমানসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত তিন মাসের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
রোববার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেন। আদেশে ১৫ অক্টোবর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালে তদন্ত সংস্থার পক্ষে সময় আবেদন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
সকালে জুলাই মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক সাত মামলায় আনিসুল হক, দীপু মনি, আমির হোসেন আমু, সালমান এফ রহমান, জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ৩৯ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী ফারুক খান, আব্দুর রাজ্জাক, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, আমির হোসেন আমু, কামরুল ইসলাম, সাবেক উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর আলম।
গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর জুলাই-আগস্টে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত দুই মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল। সেই সময় পরে আরও দু’বার বাড়ানো হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর গুলি, হত্যার নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে।
হাসানুল হক ইনুর অভিযোগ
জুলাই-আগস্টে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামি সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু অভিযোগ করে বলেছেন, অসৎ উদ্দেশ্যে আদালতের আদেশ ছাড়াই গোয়েন্দারা কারাগারে গিয়ে আমার ভয়েস রেকর্ড করেছে। আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে। রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তিনি অভিযোগ করেন।
তার এই অভিযোগে নাকচ করে চিফ প্রসিকিউর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, তদন্তের প্রয়োজনে তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা যেকোনো আসামির কণ্ঠ পরীক্ষা করতে পারেন, জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন। চিফ প্রসিকিউটরের আদেশ দেখিয়ে বলেন, ট্রাইব্যুনালের আদেশ নিয়েই হাসানুল হক ইনুর কণ্ঠ পরীক্ষা করা হয়েছে।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, আসামি নিজে কেন বারবার কথা বলে বিচার কাজে বিঘ্ন ঘটাচ্ছেন। তিনি তো আইনজীবীর মাধ্যমে তাঁর কথা আদালতে বলতে পারেন। এ সময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, ন্যায়বিচারের স্বার্থে আমরা আসামির, প্রয়োজনে আসামিদের আত্মীয়-স্বজনেরও কথা শুনব।
মন্তব্য
সর্বশেষ সংবাদ
আরও পড়ুন

প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৫ | ০৬:৪২

প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৫ | ০৩:৩২

প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৫ | ১০:৪২